সিজিএস দেশ বিদেশের বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে বিশ্লেষণমূলক কাজ করে থাকে। বাংলাদেশে 'বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন' শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সংলাপের আয়োজন করে আলোচনায় আসে সিজিএস। যেখানে বিশ্বের ৭০টি দেশের গবেষক, শিক্ষক, লেখক, সমরবিদ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন পেশার ২০০ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদের নিয়ে এই আয়োজন করা হয়। এতে ১ হাজারেরও বেশী অংশগ্রহণকারী অংশগ্রহণ করে থাকেন।
বাংলাদেশে বিভিন্ন সামজিক প্লাটফর্মসহ বিভিন্ন গনমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য, মিথ্যা খবর ও গুজব সংক্রান্ত বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করার লক্ষ্যে ‘কনফ্রন্টিং মিসইনফরমেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সংলাপের আয়োজন করে থাকে সেন্টার ফর গভার্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)। এছাড়াও তথ্য সংগ্রহে বাধা দেওয়া বা তথ্য না দেওয়া, সদিচ্ছার অভাব ও ভুল তথ্য প্রদান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভয়, রিপোর্টারদের নিয়মিত কাজের চাপ ও তার ফলে মানসম্পন্ন সংবাদের ঘাটতি, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মালিকানাধীন মিডিয়া হাউজ ও তাদের নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়ন ইত্যাদি। এছাড়াও সংবাদমাধ্যমে নির্ভুল তথ্য যাচাইয়ের জন্য ফ্যাক্ট-চেকারদের সাথে সমন্বয় ও কিভাবে তথ্য যাচাই করা যায় তা নিয়ে গবেষনামূলক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে থাকে সেন্টার ফর গভার্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)। উক্ত সংলাপ সঞ্চালনা করে থাকেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক, দেশ বরেণ্য সাংবাদিক এবং চ্যানেল আই তৃতীয় মাত্রার উপস্থাপক জিল্লুর রহমান। দেশের বিভিন্ন জেলায় ‘কনফ্রন্টিং মিসইনফরমেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সংলাপের আয়োজন করে চলেছে সিজিএস। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট, চট্রগ্রাম, পটুয়াখালীতেও ‘কনফ্রন্টিং মিসইনফরমেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সংলাপের আয়োজন করে সিজিএস । তবে ০৬/০৭/২০২৩ ইং তারিখে শিক্ষা নগরী রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতেও এই সেমিনারের আয়োজন করেছে সিজিএস।
উল্লেখ্য যে, সিজিএসের পরিসংখ্যানে জানা যায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা। প্রয়োজনে ১৫ দিন সময় বাড়ানো যেতে পারে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই ৭৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়ে না। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিচারের আগেই দীর্ঘদিন আটক থাকেন। গত ৪ বছরে ১৮ বছরের কম বয়সী অন্তত ২৬ কিশোর এই আইনে অভিযুক্ত হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীন ৪ বছরে ১ হাজার ১০৯টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে বলে ওয়েবিনারে জানানো হয়। এসব মামলায় অভিযুক্ত ২ হাজার ৮৮৯ জন। এর মধ্যে আটক হয়েছেন ১ হাজার ১১৯ জন, অর্থাৎ মোট অভিযুক্ত মানুষের ৩৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ আটক হয়েছে। তবে এই তথ্য মামলার পূর্ণাঙ্গ চিত্র নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মামলার তথ্য প্রকাশ করতে চায় না।
সিজিএস আয়োজিত এক ওয়েবিনারে জানানো হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলায় ১ হাজার ২৯ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয় জানা গেছে। এর মধ্যে ৩০১ জন রাজনীতিবিদ। সাংবাদিক রয়েছেন ২৮০ জন। শিক্ষার্থী ১০৬ জন এবং শিক্ষক আছেন ৫১ জন। তবে অভিযুক্ত অন্যদের চেয়ে শিক্ষার্থীদের আটকের হার বেশি। মোট অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭১ শতাংশই আটক হয়েছে।
সিজিএস-এর নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান বলেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে সিজিএস বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা। এছাড়া এ সংলাপে বিশ্বের নানা প্রান্তের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের কণ্ঠস্বর উঠে আসবে। এখন থেকে প্রতি বছরই এ আয়োজন করতে চায় সংস্থাটি।
সিজিএসের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ভয় সৃষ্টিতে সফল হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। রাজনৈতিকভাবে যাঁরা শক্তিশালী, তাঁদের বিরুদ্ধে এই আইনের প্রয়োগ দেখা যায় না।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com